বর্ষাকাল এলেই জ্বর-জারি, সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়ে। হয়তো আপনি বৃষ্টিতেও ভেজেননি, তাও যেন কী রকম করে ঠান্ডা লেগে গিয়েছে। আসলে ভিজে আবহাওয়ায় ঠান্ডা লেগে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। কখনও বাতাসে প্রচণ্ড আর্দ্রতা, যার ফলে ভীষণ ঘাম হচ্ছে, আবার কখনও বৃষ্টি পড়ে পাখা কমিয়ে ঘুমোনোর মতো তাপমাত্রা। আবার ধরুন ভ্যাপসা গরম থেকে সাময়িক আরাম পেতে গলায় ঢালছেন ঠান্ডা পানীয়। এই সব কারণে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। জ্বর বা সর্দি কয়েকদিন পরে তাও কমে যায়, কিন্তু কাশি সহজে কমে না। কারও কারও কাশিতে প্রচণ্ড শ্লেষ্মা থাকে, আবার কারও শুকনো কাশি হয়। শ্লেষ্মাযুক্ত কাশি বাচ্চাদেরও হতে পারে, সেক্ষেত্রে শ্বাসনালীতে সংক্রমণ হয়েছে কি না দেখতে হবে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে এই কাশির চেয়েও সম্ভবত বেশি কষ্টকর শুকনো কাশি।
কেন হয় শুকনো কাশি?
ব্রঙ্কাইটিস বা অ্যালার্জির কারণে এই ধরনের শুকনো কাশি হতে পারে। অনেক সময় কোনও ঠান্ডা লাগা ছাড়াই কাশি শুরু হয়ে যেতে পারে। সেই ক্ষেত্রে এমনও হতে পারে খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়ার জন্য শুকনো কাশি হচ্ছে। যাঁদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তাঁদেরও বর্ষার মরসুমে সতর্ক হওয়া দরকার, কারণ শুকনো কাশি হওয়ার ঝোঁক এঁদের সবচেয়ে বেশি।
কী করলে কমবে শুকনো কাশি?
গরম লাগলেও ঠান্ডা পানীয়তে গলা ভেজাবেন না। এতে হয়তো সাময়িকভাবে গরম কমবে, কিন্তু পরে কাশি বাড়ার আশঙ্কা থাকবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খাবেন না, কারণ এতে কাশির বেগ আরও বাড়তে পারে। অত্যধিক চা বা কফি খাওয়ার অভ্যেস থাকলে সেটা কমান।
কাশি কমানোর ঘরোয়া টোটকা:
১) গলায় ব্যথা ও কাশি কমাতে আদা খুবই উপকারি। ছোট একটি আদার টুকরো মুখে রেখে দিসে কাশি কমবে। এ ভাবে না খেতে পারলে চা বানানোর সময় আদা দিয়ে দিন।
২) কাশি কমাতে প্রতিদিন ১ চামচ মধু খান। মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা সংক্রমণ কমায়।